রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

নাটোরে শিক্ষিকার আত্মহত্যা নাকি হত্যা?

Natore-Kontho24 নাটোর কন্ঠ ২৪ নাটোরের খবর নাটোর নাগরিক কন্ঠ

ছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া শিক্ষিকা এখন কেবলই ইতিহাস।

প্রতিবেদকঃ- রাকিবুল হাসান রাফি

তারিখঃ- ১৪/০৮/২০২২

ছবি- সংগৃহীত

বিস্তারিত -


কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল শিক্ষিকা নাহারের আত্মহত্যা॥ স্বামী মামুন আটক

নাটোরে ছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শিক্ষিকা খাযরুন নাহার (৪০) আত্মহত্যা করেছেন। রোববার ভোররাতে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসার চারতলায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হতে ভবনের অন্য বাসিন্দারা স্বামী মামুনকে আটক করে রেখেছে। মামুন-নাহার দম্পতি নাটোর শহরের বলারীপাড়ার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন।

 কিনুন- সুহাসীনি


ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানান, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান, তার স্ত্রী খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার শেষ রাতে আত্মহত্যা করেছেন।

 লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা মামুন বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেন।

 সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো.খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামেরর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এর আগে ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামী পরিত্যক্তা এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।




নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.