ছবি- নাটোর কন্ঠ 24
নিজেরা না খেয়ে অন্যর মুখে খাবার তুলে দিয়ে তৃপ্ত ওরা
নিজেরা না খেয়ে বা কম খেয়ে হলেও পথশিশুদের মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতে পারলে ওরা ভীষণ তৃপ্তি অনুভব করে। নিজেরা সবাই নানা সমস্যায় জর্জরিত পরিবারের সদস্য হলেও পথশিশুদের বা পথে থাকা মানুষদের অনাহারে থাকা মুখগুলো তাদের কষ্ট দেয়। অনাহারে কষ্ট পাওয়া মানুষের চাহনি ওদের কচি মনে ঝড় তোলে, তাই সংঘবদ্ধ হয় কিছু একটা করার জন্য।
এমনই উদ্যোগে গড়ে ওঠে প্রিজমিয়ান নেক্সট জেনারেশন (পিএনজি) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
নিজেদের খরচের টাকা বাঁচিয়ে, বাহিরে চা নাস্তা বাদ দিয়ে সবাই মিলে কিছু টাকা যোগাড় হলেই ছুটে যায় নানা জায়গায় অনাহারির মুখে খাবার তুলে দিতে। জেলায় জেলায় ঘুরে ওরা রান্না করা খাবার বিতরণ করেন।
শুক্রবার সিংরা এলাকায় এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় কথা হয় সংগঠনটির নাটোর ইউনিটের সমন্বয়কারী তানভীর আহম্মেদের সঙ্গে। তানভীর জানান, সিংরা শহরের উপজেলা কোয়ার্টার চত্তরে তাদের উদ্যগে নিজারাই রান্না করে ইফতার এর আগে বেরিয়ে পরেন বিভিন্ন মাদরাসা এবং গরিব দুখি মানুষের কাছে
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রেডিও জকি ও তরুণ লেখক শরিফা সুহাসিনী বলেন, সামান্য এক প্যাকেট খাবার হাতে পেয়ে অনাহারির মুখে যে প্রশান্তির হাসি দেখতে পাওয়া যায় পৃথিবীতে এর চেয়ে সেরা আনন্দের আর কিছুই নেই।
শোভা ও শ্রেয়াসহ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে করোনার আগে যাত্রা শুরু হলেও এখন সংগঠনের পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ১১ জেলায় তাদের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হয়েছে।
আয়োজক তরুণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সবাই শিক্ষার্থী, বেশি ব্যয় করার সাধ্য নেই। তবুও নিজেদের সীমিত সাধ্যে অন্তত এক বেলা অনাহারীর মুখে আহার তুলে দিতেই এই প্রচেষ্ঠা।
Natore-Kontho24